প্রকাশিতঃ শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০১৯ পঠিতঃ 44982
বছরখানেক ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (শনিবার)। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে মোট ৩৫ জন প্রার্থী অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে দুজনের মধ্যে। তারা হলেন, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-এর সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বিরোধী দল শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট (এসএলপিপি)-এর গোটাবায়া রাজাপক্ষে।
আঞ্চলিক প্রভাব বজায় রাখতে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন নিয়ে এশিয়ার দুই মোড়ল চীন ও ভারত দুদেশেরই আগ্রহ ব্যাপক। বিশ্লেষকরা এই নির্বাচনকে চীন-ভারতের লড়াই হিসেবেই দেখছেন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসাকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় দিল্লি। অন্যদিকে বিরোধী দলের গোটাবায়া রাজাপক্ষকে ক্ষমতায় দেখতে চায় বেইজিং। নিজেদের এই ইচ্ছাপূরণে পর্দার আড়ালে পাল্টাপাল্টি ঘুটি চালাচালি চলছে বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
মূল দুজন প্রার্থীর পেছনেই আছেন সাবেক দুজন রাষ্ট্রনায়ক। সাজিথ প্রেমাদাসা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রানাসিংহ প্রেমাদাসার ছেলে। আর বিরোধী দলের প্রার্থী গোটাবায়ে রাজাপক্ষে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের ভাই। দেশটির সংখ্যালঘু তামিল ও মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তুমুল জনপ্রিয় প্রেমাদাসা। অন্যদিকে সিংহলিদের মধ্যে গোটাবায়ে রাজাপক্ষের প্রভাব বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। ভাই রাজাপক্ষের আমলে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন গোটাবায়ে রাজাপক্ষে। ২০০৯ সালে সংখ্যালঘু তামিল ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ অবসানে তার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এজন্য সিংহলিদের ভোট তার দিকে হেলে পড়তে পারে। তবে চীনা ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর হারানোর ঘটনায় গোটাবায়ের ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়। এই ইস্যুটা তার গোটাবায়ের জন্যের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে। শেষ পর্যন্ত কার জয় হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাংলা ইনসাইডার
ইসরাফিল হোসেন / ইসরাফিল হোসেন