প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০ পঠিতঃ 29484
শারীরিক উপস্থিতিতে আগামী বইমেলা আয়োজনের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছেন প্রকাশকরা। এতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১’-এর প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সকালে তারা সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবে সংযোজন-বিয়োজন করবেন। এরপর বাংলা একাডেমির কাছে তা জমা দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির নির্বাহী পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা সাময়িক স্থগিত করে ভার্চুয়ালি আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার প্রতিবাদ জানান প্রকাশকরা। এ নিয়ে বাংলা একাডেমির সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির নেতারা। ওই বৈঠকে মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলার আয়োজন নিয়ে প্রকাশকদের কাছে লিখিত প্রস্তাব চান।
বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, রোববার রাতেই আমরা দুই সমিতি বৈঠকে বসি। এরপর আমরা চিঠির খসড়া প্রস্তুত করেছি। চিঠিটি বাংলা একাডেমিকে দেয়ার আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। মঙ্গলবার (আজ) তার সঙ্গে দেখা করার পর আমরা আমাদের প্রস্তাব সংযোজন-বিয়োজন করে জমা দেব।
তিনি বলেন, আমরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা আয়োজনের কথা বাংলা একাডেমিকে জানাব। সেজন্য ১৫ অথবা ১৭ ডিসেম্বর আমরা লিখিত প্রস্তাব বাংলা একাডেমির কাছে পাঠাব। এর ফলে বাংলা একাডেমি মেলা আয়োজনের জন্য দুই মাস সময় পাবে।
এর আগে রোববার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী যুগান্তরকে জানান, ভার্চুয়ালি নয়, শারীরিক উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের বইমেলা। করোনা বিবেচনায় হয়তো মেলা শুরুর সময় পরিবর্তন হতে পারে।
মোঃ আলাউদ্দিন / কামরুজ্জামান রাজু