প্রকাশিতঃ শনিবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২১ পঠিতঃ 25704
ভীষণ অদ্ভুদ সময় ২০-২৩ বয়সটা।এই সময়টার নাম দিয়েছি ওল্ড ট্রাজেডি।পৃথিবীর পানসে লাগার মত একটা সময়ই এটা কুড়ি কিংবা বাইশ।এই বয়সে পড়া শোনা শেষ চাকরির হতাশা,এই সময়টা বাবার বড় ধরনের অপারেশন অনেক দরকার,প্রিয়জনও আর পরিবারকে মানাতে পারছে না বিসিএস ক্যাডার পছন্দ করেছে তার বাবা,মায়ের রান্নাটাও বিদঘুটে হয়ে দাড়িয়েছে।এই সময়টা কেউ পাশে থাকতেই চায়না।
পকেট থেকে ১৫ টাকা বের করে এই সময়টা বেনসন খাওয়া হয়না কুড়ির ছেলেটার তখন তার চোখ পাশের ফটোকপির দোকানে ১০ টাকা দিয়ে সিভি রেডি ৫ টাকা দিয়ে সামনে একটু হেটে গিয়ে সিএনজি করে ভাইভার অফিস খোজা।ভাইভা,শেষ করে মোবাইল হাতে ১৭ মিসডকল ১৩ টা মায়ের ৪ টা অনুর(প্রিয় মানুষটা)।
কল ব্যাক করে বলার সময় তার হয়না তার ভাইভা ভাল হয়েছে কিন্তু ভাইভা বোর্ডের অফিসারের তাকানো বেশি সুবিধার হয়নি,ফোনে ১৩ পয়সা আছে তাও মেয়াদ শেষ।
সত্যিই এই সময়টা খুব খারাপ রাজ্যের সব চাপ এক সাথেই হাজির হয়,বন্ধু ভাল লাগেনা,প্রিয়জন ভাল লাগেনা,কারো উপদেশ কাটার মত লাগে।
পৃথিবীর সেরা ব্যার্থ মানুষ মনে হয় নিজেকে। এই সময়টাতে বাবার শাত্বনাটাও ভাল লাগেনা।হাহাকার ব্যাস্ততা লাগে।এই সময়টাতে অনেক ধার দেনাও হয়।
এই বয়সে আবেগ দেখানো যায় না,জোরে হাসা যায় না,লোক সম্মুখে কাদা যায় না।
এই সব পার করে জীবনে এগিয়ে গেলে তখন আর মানুষগুলা মানুষ থাকেনা।মানুষটি মেশিন হয়ে যায়,জীবন্ত মেশিন।যে মেশিনটা ঢিলা জামা পড়ে ক্ষয় হওয়া জুতার একপাশ কোন রকম পড়িয়ে হেটে বেরিয়া পড়া জিবীকার খোজে সন্ধ্যায় হাবিজাবি কয়েক অক্ষরে গাদা কয়েক ঔষধ নিয়ে বাবা মাকে সেবা।
বছর ঘুরতেই অচেনা মেয়েকে প্রিয়সী বানিয়ে তার ঘ্যানর ঘ্যানরের বাজার,তার শখ আহ্লাদের কসমেটিকস বহন।সময় গড়িয়ে ছোট ছেলের শখ আহ্লাদ।
আমরা বাহক সারাক্ষণ বইতেই থাকি,চাপ নিতেই থাকি।নিজের ক্ষয়ে যাওয়া জুতা পাঁচ টাকা অভাবে শার্টটা আয়রন করাটাও হয়ে ওঠে না। দিন শেষে এর মাঝেও সুখ দুঃখ আলাদা করে ভাগ করতে হয় কী কতটুকু পেলাম।
মোঃ আলাউদ্দিন / মোঃ আলাউদ্দিন