প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, মে ১০, ২০২২ পঠিতঃ 49707
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গায়ে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া গৃহবধূ তামান্না খাতুন (২৫) অবশেষে মারা গেছেন। গত চারদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কাছে হারমানে গৃহবধূ তামান্না।
সোমবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধু তামান্না খাতুন পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে। গত ৫ মে সন্ধ্যায় বাড়ির পেছনে কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে বর্তমান স্বামীসহ তরুণীকে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন। এরপর থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন গৃহবধু তামান্না।
আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তরুণীর বাবা আব্দুল হক পাটকেলঘাটা থানায় সাবেক স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২। প্রধান অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন কলারোয়া উপজেলার তুলসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
তামান্না খাতুনের মামা সাতক্ষীরা সদরের বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার জানান, তামান্না চিকিৎসাধীর অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন। আমরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
পাটকেলঘাটা থানার এসআই লিটন এই নৃশংস কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন নানাভাবে। আমরা তারও বিচার দাবি করছি।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কৃষ্ণ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে অবস্থান করছেন। মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামী সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়া তরুণীর বর্তমান স্বামী ফরহাদ হোসেনও দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, মৃত্যু গৃহবধূ তামান্নার সাবেক স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেন নিজের গায়েও পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে মরবেন বলে তরুণীকে জড়িয়ে ধরে। তখন তিনজনই কমবেশী দগ্ধ হন। এ মামলায় অপর এক আসামী পাটকেলঘাটার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহিন হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারেও চেষ্টা চলছে।
ইসরাফিল হোসেন / ইসরাফিল হোসেন